× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

ভোলায় র‍্যাবের অভিযানে জ্বীনের বাদশা গ্রেপ্তার 

ভোলায়-র‍্যাবের-অভিযানে-জ্বীনের-বাদশা-গ্রেপ্তার 

অভিনব কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে এক ব্যক্তির প্রায় ৫৩ লাখ টাকা হাতিয়া নেওয়ার মামলায় অভিযান চালিয়ে মো.কামাল উদ্দিন মীর (৪৭) নামে এক জ্বীনের বাদশাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্প।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৮টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা শহরের দক্ষিণ বাসষ্ট্যান্ড ডাইভারসন রোডের একটি চায়ের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি কাচিয়া ইউনিয়নের পদ্মা মনসা গ্রামের বাসিন্দা মুসা মীরের ছেলে।

এদিন দিনগত রাত ১১টার দিকে র‍্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এতে জানানো হয়,প্রতারক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মীরসহ অজ্ঞাতনামা কতিপয় প্রতারক জ্বীনের বাদশাহ সেজে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে ভূয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যা সমাধানসহ বশীকরণ করার বিজ্ঞাপন প্রদান করে দেশের বিভিন্ন স্থানের সাধারণ মানুষের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছে।

সম্প্রতি চট্রগ্রামের ফটিকছড়ি থানার জনৈক মো.দিদারুল আলম (৪০) অনলাইনে তাদের বিজ্ঞাপন দেখে তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে সে তার ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বললে প্রতারকরা বশীকরণের মাধ্যমে তার সমস্যা সমাধান করার জন্য তাকে আস্বস্ত করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশে ৫৩ লাখ ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

পরবর্তীতে ভুক্তভোগী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে নিজে বাদী হয়ে চট্টগ্রামের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করলে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ি থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা অভিযান চালিয়ে প্রতারক কামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্যান্য প্রতারকদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। দেশ ও জনগণের জানমাল রক্ষার্থে এবং সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধে র‍্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Khulna Rupsa Jelly Injected Shrimp Renu Pona Use and Coast Guard Meeting To Prevent Frozen Food Marketing

খুলনার রূপসায় জেলি ইঞ্জেক্টেড চিংড়ি, রেণু পোনা ব্যবহার এবং ফ্রোজেন ফুড বাজারজাতকরণ প্রতিরোধে কোস্ট গার্ডের মতবিনিময় সভা

খুলনার রূপসায় জেলি ইঞ্জেক্টেড চিংড়ি, রেণু পোনা ব্যবহার এবং ফ্রোজেন ফুড বাজারজাতকরণ প্রতিরোধে কোস্ট গার্ডের মতবিনিময় সভা

মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজ ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন রূপসায় জেলি ইঞ্জেক্টেড চিংড়ি, রেণু পোনা ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং ফ্রোজেন ফুড বাজারজাতকরণ বিষয়ক একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ি শিল্পের গুরুত্ব ও সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। দেশের একটি বৃহৎ অংশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস এই চিংড়ি রপ্তানি খাত। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় রেণু পোনা ব্যবহার ও চিংড়িতে জেলি ইঞ্জেক্ট করে আসছে, যা দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করা সহ আন্তর্জাতিক রপ্তানি শিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ।

এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ পরিবেশে ফ্রোজেন ফুড প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণ ভোক্তাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এই ধরনের কার্যকলাপ শুধু জনস্বাস্থ্যকেই হুমকির মুখে ফেলছে না, বরং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও রপ্তানি খাতের স্থায়িত্বকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চিংড়ি বণিক সমিতি রূপসা ও খুলনা, খুলনা ফ্রোজেন ফুড অ্যাসোসিয়েশন, মৎস্য অধিদপ্তর, পুলিশ, নৌপুলিশ, বনবিভাগ এর প্রতিনিধিবৃন্দ এবং স্থানীয় জনগণ।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Daulatpur floods damaged the crop of 5700 hectares of land

দৌলতপুরে বন্যায় ১ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত

দৌলতপুরে বন্যায় ১ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত

কুষ্টিয়ায় আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক সমাজ। পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের চরাঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা। এতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির উঠতি ধান, পাট, ভুট্টা, সবজি, কলা ও মরিচের ফসল সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যার পানিতে প্রায় সব আবাদি জমি তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। তাদের চোখের সামনে স্বপ্নের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ভবিষ্যৎ। বছরের অধিকাংশ খাদ্য চাহিদা পূরণে যে ধানের ওপর চরবাসী নির্ভর করেন, সেই ধান এখন পানির নিচে। বিশেষ করে ধানগাছ ডুবে যাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। চিলমারী ইউনিয়নের একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে আকস্মিক এই বন্যায় ধান, পাট, ভুট্টা, কলা, সবজি ও মরিচ সব ফসলই ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি আগে কখনো দেখেননি বলেও জানান তারা। চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান বলেন, ‘পদ্মার চরের প্রায় সব আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যা কৃষকদের চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলেছে।’

দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর, ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে প্রায় ১ হাজার ১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সবধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।

এদিকে, কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল করিম জানান, এবারের বন্যায় জেলার মোট ১ হাজার ২৯৮ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতির শিকার হয়েছে। যার মধ্যে দৌলতপুরেই ১ হাজার ১ হেক্টর। কৃষকদের সহায়তায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

বর্তমানে কুষ্টিয়ার বন্যাক্রান্ত কৃষকদের মুখে শুধু একটাই কথা ‘ফসল না উঠলে পরিবার চলবে কীভাবে?’ এ সংকটময় মুহূর্তে কৃষকদের টিকিয়ে রাখতে জরুরি হয়ে পড়েছে সরকারি সহায়তা, প্রণোদনা ও কৃষি ভর্তুকি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The captain of the womens soccer team in Meherpur

মেহেরপুরে নারী ফুটবল দলের অধিনায়কের আত্মহত্যা

মেহেরপুরে নারী ফুটবল দলের অধিনায়কের আত্মহত্যা

অবশেষে মারা গেলেন মেহেরপুর জেলা প্রমিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সুস্মিতা খাতুন।

গত সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুস্মিতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সে মেহেরপুর জেলা নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ও মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সুস্মিতা মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের নাতনি। ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টনে জেলা পর্যায়ে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন।

মাসখানেক আগে ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানোর পর মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করালে পরে যশোর হাসপাতালে নেয়া হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে যশোর থেকে ঢাকায় নেওয়া হলে সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনের কারণে কিডনিতে জটিলতা দেখা দেয়, যা তার মৃত্যুর কারণ হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP arrested for selling rice in Noakhali

নোয়াখালীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির দায়ে বিএনপি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির দায়ে বিএনপি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের ৩ বস্তা চাল খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ঘোষবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ওজি উল্যাহ কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের জগদানন্দ গ্রামের মৃত দুধা মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, গত সরকার পতনের পর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার নেন বিএনপি নেতা ওজি উল্যাহ। এর পর থেকে স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। পরবর্তীতে গত শনিবার বিকেলে স্থানীয় লোকজন তিন বস্তা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল খোলা বাজারে বিক্রির সময় আটক করে। খবর পেয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। একপর্যায়ে সেখান থেকে ৪৩ বস্তা চাল জব্দ করে ইউনিয়ন সচিবের জিম্মায় রাখে। অভিযোগ রয়েছে, ডিলার ওজি উল্যাহ চাল বিতরণের স্থান পরিবর্তন করে এসব অনিয়ম করে আসছে। সোমরার এ ঘটনায় উপজেলা উপ-খাদ্য পরিদর্শক মো. ছালেহ উদ্দিন বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন।

কবিরহাট থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fish hunting freely in the Padma river in Goaland

গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে নিষিদ্ধ জালে অবাধে চলছে মাছ শিকার

গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে নিষিদ্ধ জালে অবাধে চলছে মাছ শিকার

রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদী ও মরা পদ্মায় ছেয়ে গেছে কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী। এছাড়াও পদ্মা নদী ও নদীর শাখা খাল বিল ও জলাশয়ে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী শুরু হয়েছে মাছ শিকারের প্রতিযোগিতা। ফলে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। জানা গেছে, পদ্মা নদী সহ খাল বিলে চায়না দোয়ারী ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ইলিশ, পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মা মাছ শিকার করা হচ্ছে। এছাড়া সব প্রকার দেশীয় প্রজাতির মাছ, পোকামাকড়, ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়া মারা পড়ছে এই সব মরণ ফাঁদে। সেইসঙ্গে রক্ষা পাচ্ছে না বিপন্ন জলজ প্রাণীও। এ কারণে নদীতে বিলুপ্তর পথে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজপ্রাণী।

সচেতন মহলের দাবি, পদ্মা নদীতে অবাধে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী দিয়ে মাছ শিকার করা বন্ধ না করলে আগামীতে নদী থেকে বিপন্ন প্রজাতির মাছ ও দেশি মাছগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। যা আগামী প্রজন্মের কাছে শুধু ছবিতে ও গল্পেই শোভা পাবে। তারা আরো বলেন, নদীতে তেমন কোন অভিযান হয়না, নদীর আশপাশের যে সমস্ত বাড়ি রয়েছে তাদের প্রত্যেকের কাছে চায়না দুয়ারী ও কারেন্ট জাল রয়েছে। উপজেলা মৎস্য বিভাগ এ বিষয়ে কোন গুরুত্ব দেন না।

একাধিক জেলেরা বলেন, স্থানীয় কিছু অসাধু জেলেদের কারণে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ সহ জলজ প্রাণীগুলো। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে আটকা পড়ে জাটকা ইলিশ, ডিমওয়ালা মা মাছ। যার কারণে ডিম ছাড়তে না পারায় ইলিশ সহ দেশি প্রজাতির মাছ আর দেশে দেখতে পাব না। এসব অবৈধ মাছ শিকার করার মরণ ফাঁদগুলো অতি দ্রুত নদীতে ও হাট বাজারে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করা প্রয়োজন।

গোয়ালন্দ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়, নদী, খাল বিলে যে সমস্ত অবৈধ জাল ব্যবহিত হচ্ছে তা সম্পন্ন নিষিদ্ধ। এরমধ্যে চায়না দুয়ারী জাল ব্যাপকভাবে ব্যবহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে নদীতে অভিযান দিয়ে চায়না দুয়ারিও কারেন্ট জাল জব্দ করে নদীর পাড়ে জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী ব্যবহার যাতে না করে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tourist crowd

ত্রিশালে চেচুয়া ও গলহর বিলে শাপলা দেখতে পর্যটকদের ভিড়

ত্রিশালে চেচুয়া ও গলহর বিলে শাপলা দেখতে পর্যটকদের ভিড়

ময়মনসিংহের ত্রিশালের রামপুর এলাকায় চেচুয়া ও গলহর বিলে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। চেচুয়া ও গলহর বিল দুটি এখন যেন রূপকথার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। বিলের চারদিকে ফুটে থাকা হাজারো শাপলা ফুল যেন এক লাল গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। যা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী। এই মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

স্থানীয়দের মতে, বর্ষার সময় ওই বিলের সৌন্দর্য পূর্ণতা পায়। সাদা, লাল এবং গোলাপি শাপলার পাপড়ি সূর্যের আলোয় ঝলমল করে, যা মনকে এক অনাবিল শান্তি এনে দেয়। ভোর সকালে বিলের মধ্য দিয়ে নৌকা বা ডিঙি নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে শাপলা ফুল স্পর্শ করার অভিজ্ঞতা মানুষদেরকে মুগ্ধ করেছে।

স্থানীয়রা বলছে, বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। শুধু স্থানীয়রাই নয়, ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন। বিলের পাশে দোকানপাট গড়ে উঠেছে। যেখানে হালকা খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

গলহর বিলের শাপলা ফুল দেখতে আসা শারমিন সুলতানা বলেন ‘শহরে এমন দৃশ্য দেখা যায় না। এখানকার স্নিগ্ধ ও শান্ত পরিবেশ আমাদের মনকে সতেজ করে তুলেছে। আমি প্রতিবছর ফুলগুলো দেখতে আসি।’

কলেজ শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটি শুধু একটি বিল নয়, যেন প্রকৃতির এক অসাধারণ চিত্রকর্ম। আমরা আশা করি, এই সৌন্দর্য চিরকাল টিকে থাকবে।’ পর্যটকদের কাছ থেকে নৌকার ভাড়া বেশি নেওয়ার তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিশোরগঞ্জ থেকে ফুল দেখতে আসা পর্যটক কাঞ্চন মিয়া বলেন ত্রিশালের ওই দুটি বিল প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে একটি সুন্দর সেতুবন্ধনও তৈরি করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former MPs brother detained while fleeing to India

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক এমপির ভাই আটক

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক এমপির ভাই আটক

মাগুরা এক আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের ছোট ভাই হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি আশরাফুজ্জামান হিসাম ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় চুয়াডাঙ্গা থেকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। ২০২৪ সালে মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা বোমা বিস্ফোরণ হত্যাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করে। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় চাকরি দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করেন। গত সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।

আটক আশরাফুজ্জামান হিসাম মাগুরা জেলার পৌর এলাকার জামরুল তলা নিবাসী মৃত আসাদুজ্জামানের ছেলে। হিসাম মাগুরা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, গত সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ জানতে পারে মাগুরা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের ছোট ভাই আশরাফুজ্জামান হিসাম সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়া যাবে। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে অবস্থান নেয়। সে ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে চুয়াডাঙ্গায় আসে। ট্রেন থেকে নামার পর পুলিশ তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় ভারতে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে চুয়াডাঙ্গায় আসে। তিনি আরো জানান, তার বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরকসহ অন্য আইনে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ হিসামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাগুরা সদর থানার নিকট হস্তান্তর করেন।

মন্তব্য

p
উপরে